চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর একাধিক পরকীয়ার বলি হলেন হাবিব মৃধা (৩০) নামে এক যুবক। গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ফেলে দেওয়া হয় বিলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় চার যুবক এবং আলোচিত সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজিগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে মো. রুবেল (৩১), একই গ্রামের মৃত হোসেন বেপারীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৩), হেজবুল্লাহর ছেলে রাসেল (২৭), সিরাজুল ইসলামের ছেলে পারভেজ হোসেন প্রকাশ শ্যামল (২৬) ও উপজেলার একলাছপুর গ্রামের প্রবাসী মো. ফারুক হোসেনের স্ত্রী শিউলী আক্তার (২০)।
পুলিশ জানায়, হাবিব মৃধা ৪ আগস্ট (বুধবার) সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন। পুলিশের অনুসন্ধানে একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে উপজেলার একলাছপুর গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী শিউলী আক্তারের সঙ্গে হাবিব মৃধার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। শিউলীর সঙ্গে হাবিব মৃধা ছাড়াও মো. রুবেল ও মো. রাসেল নামের আরও দুই যুবকের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে শিউলী আক্তার দুজনকে বাদ দিয়ে হাবিব মৃর্ধার সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। এর জের ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। রুবেল ও রাসেলকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শিউলীর জীবন সরে যেতে বলেন হাবিব মৃধা। কিন্তু উল্টো রুবেল রাসেল, সাইফুল ও পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত ৪ আগস্ট বুধবার রাতে রুবেল হাবিবকে মুঠোফোনে পাশের বিলের ব্রীজের পাশে ডেকে নেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুবেলের সহযোগী সাইফুল ইসলাম নাইলনের রশি দিয়ে হাবিবের গলা পেঁচিয়ে ধরে। এ সময় অপর সহযোগী রাসেল ও শ্যামল তার হাত চেপে ধরে এবং রুবেল পা চেপে ধরে। শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে গুপ্তের বিলে ফেলে দেয়। পরে হাবিবের ব্যবহৃত মুঠোফোন ও নাইলনের রশিটি শিউলী আক্তারের বাড়ির পাশের খালে ফেলে দিয়ে খুনের ঘটনাটি শিউলী আক্তারকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করে রুবেল।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, আটক পাঁচজনকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।